প্রকাশিত: Fri, Jun 7, 2024 12:21 PM
আপডেট: Thu, Jul 10, 2025 11:06 PM

[১]শিমুলের জবানবন্দিতে উঠে এলো আনার হত্যার রহস্য

মুযনিবীন নাইম:[২] ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শিমুল ভূঁইয়া। সেই জবানবন্দি ও ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তিন কারণ।

 [৩] ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন শিমুল ভূঁইয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

[৪] আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিমুল ভুঁইয়া বলেন, এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। কলকাতায় হত্যা মিশন শেষ করে গত ১৫ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

[৫] তিনি ছিলেন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) একজন শীর্ষ নেতা। খুলনা, ঝিনাইদহ ও যশোরে সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী। এ কাজে বাধা ছিলেন এমপি আনার। এরমধ্যে আখতারুজ্জামান শাহিন খুনের পরিকল্পনা করলে শিমুল রাজি হয় ও যৌথভাবে আনারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

[৬] তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) প্রধান নেতা ছিলেন ডা. মিজানুর রহমান টুটুল। ২০০৮ সালের জুলাইতে তিনি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। টুটুল শিমুল ভূঁইয়ার আপন বোনের স্বামী এবং আখতারুজ্জামান শাহিনের চাচাতো ভাই।

[৭] সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে সংসদ সদস্য আনারের সঙ্গে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। যারা ছিলেন টুটুলের বিরোধী পক্ষ। শিমুল ও শাহিনের ধারণা, ওই যোগাযোগের সূত্র ধরেই এমপি আনার টুটুলকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিয়েছে। এজন্যই শাহিন এমপি আনারকে হত্যার দায়িত্ব দিতে রাজি হন। সম্পাদনা: এল আর বাদল